
মুক্তার হাসান :
রাজনৈতিক ইতিহাসে টাঙ্গাইল-৫ সদর আসন সব সময়ই আলোচিত অবস্থানে থাকে। এখানে ভোটযুদ্ধ মানেই নতুন সমীকরণ, নতুন সম্ভাবনা আর নতুন ঘটনাপ্রবাহর জন্ম। সেই ধারাবাহিকতায় আসনটি এখন জাতীয় রাজনীতির অন্যতম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে। আর এই আসনটিতে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির সবচেয়ে সম্ভাবনাময় নেতা, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক, দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের প্রতীক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
তৃণমূল থেকে জাতীয় নেতৃত্বে তার অবদান,
সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর রাজনৈতিক জীবন শুরু ছাত্ররাজনীতি থেকে। তিনি শুধু ছাত্রদলের একজন কর্মী ছিলেন না, বরং দেশব্যাপী সংগঠনকে শক্তিশালী করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। তার রাজনৈতিক জিবনের শুরু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের সভাপতির দায়িত্ব পালন থেকে, পরবর্তীতে ছাত্রদলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন শেষে ২০০৯ সালে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি হিসেবে তিনি তরুণদের সংগঠিত করেছিলেন গণতন্ত্রের আন্দোলনে। তার হাত ধরে ছাত্রদল পেয়েছিল নতুন প্রাণশক্তি, পেয়েছিল সংগঠনের প্রতি আস্থা।
ছাত্রদলের দায়িত্ব শেষ হওয়ার পর বিএনপির হাইকমান্ড যুবদলের দায়িত্ব তুলে দেয় সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর হাতে। প্রথমে সাধারণ সম্পাদক, পরে সভাপতি হিসেবে তিনি যুবকদের সংগঠিত করেছেন আন্দোলন-সংগ্রামে। দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
এরপর বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক হিসেবে তাকে মনোনীত করা হয়। তার দায়িত্বে ছাত্রদল এবং যুবদলে এসেছে সফলতা, সাংঘঠনিক যোগ্যতা এবং সারাদেশব্যাপী বিএনপির তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের কাছে তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতার কারণেই। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে এ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করেন। ফলে আজ তিনি শুধু টাঙ্গাইল নয়, সারাদেশের জনপ্রিয় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন।
আন্দোলনের মাঠে সুলতান,
টুকুর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য-তিনি কেবল কাগুজে রাজনীতিবিদ নন। আন্দোলন-সংগ্রামে, রাজপথে, মাঠে-ময়দানে তার সক্রিয় উপস্থিতি বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে আলাদা মর্যাদায় নিয়ে গেছে। সরকারের রোষানলে পড়ে বারবার গ্রেফতার, জেল-জুলুম, নির্যাতন, সবকিছুই সহ্য করেছেন তিনি। কিন্তু কখনো দমে যাননি। বরং প্রতিটি দমননীতি তাকে আরও  শক্তিশালি করেছে, নেতাকর্মীদের প্রেরণার উৎস হয়ে মনোবলকে চাঙ্গা করে তুলেছে।
সংগঠক হিসেবে সক্ষমতা,
টুকুর সবচেয়ে বড় শক্তি তার সাংগঠনিক দক্ষতা। ছাত্রদল থেকে যুবদল-প্রতিটি ধাপে তিনি সংগঠনকে শক্তিশালী করেছেন। তার গ্রহণযোগ্যতা শুধু টাঙ্গাইল নয়, সারাদেশে বিস্তৃত। তিনি যে কোনো আন্দোলন বা নির্বাচনী কৌশলকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। এজন্যই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তার অবস্থান বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
টাঙ্গাইল-৫ আসনে টুকু কেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে ?
টাঙ্গাইল-৫ আসনের রাজনীতি গত কয়েক দশকে নানা পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে গেছে। জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ, বিএনপি-সব দলই এখানে প্রভাব বিস্তার করেছে। কিন্তু এখনকার বাস্তবতায় সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এই আসনের সবচেয়ে শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী।
তৃণমূল থেকে ছাত্রদল, যুবদল এবং বিএনপির শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন সুলতান। রাজপথের লড়াকু নেতা, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সামনের সারির সৈনিক তিনি। দলের শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ব্যাপক সমর্থন।
এদিকে জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির মধ্যে অন্য কোনো প্রার্থী টুকুর বিকল্প নয় বলে মত প্রকাশ করেন তারা। এলাকার মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সু-সম্পর্ক, মাটির মানুষের নেতা হিসেবে পরিচিত। ভবিষ্যতের বিএনপির কাণ্ডারী বিএনপির আগামী দিনের নেতৃত্বে যারা বড় ভূমিকা রাখবেন, তাদের অন্যতম হবেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। ছাত্রদল-যুবদল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত তার ধারাবাহিক রাজনৈতিক ক্যারিয়ারই বলে দেয়-তিনি শুধুমাত্র একজন প্রার্থী নন, বরং বিএনপির ভবিষ্যতের কাণ্ডারী। যার ফলে টাঙ্গাইল-৫ আসনের মানুষ বিশ্বাস করে অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর কোন বিকল্প নেই। জাতীয় রাজনীতির উত্তেজনার কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে এখন প্রশ্ন এই আসনে কি নতুন ইতিহাস রচিত হবে? উত্তর লুকিয়ে আছে ভোটের বাক্সে। তবে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের দৃঢ় বিশ্বাস-ধানের শীষের কাণ্ডারী হিসেবে বিজয়ের মুকুট সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মাথায়ই উঠবে।